ইরানে ভয়াবহ বন্যায় ৭০ জনের মৃত্যু  

 

ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে প্লাবিত শহরগুলোতে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় শনিবার থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো। প্রদেশগুলোর বাঁধের পানি বিপদজনক সীমা পার হয়ে যাচ্ছে। তাই বাঁধগুলো থেকে পানি সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে দেশটির দুর্যোগ বিভাগের কর্মীরা।

দুর্যোগ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সুসানগার্ড শহরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছেন। তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খুজেসতান প্রদেশ থেকে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই প্রদেশের প্রায় ৭০টি গ্রামের মানুষকে ইতোমধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তেল সমৃদ্ধ এই অঞ্চলের জ্বালানি কোম্পানিগুলো পানি অপসারণের জন্য পাম্প ব্যবহার ও ত্রাণ তৎপরতায় সহায়তা করছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাবেদ জারিফ বলেছেন, গত বছর পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় ত্রাণ প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং উদ্ধারকারী হেলিকপ্টারের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

১ এপ্রিল এক টুইটবার্তায় ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিষেধাজ্ঞাকে সন্ত্রাস অবিহিত করে বলেন, এটা শুধুমাত্র একটি অর্থনৈতিক যুদ্ধ নয়, এটা পুরোপুরি অর্থনৈতিক সন্ত্রাস।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিশেষ করে কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

১৯ মার্চ দেশটির প্রায় এক হাজার ৯০০ শহর ও গ্রামে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে হাজার হাজার সড়ক, সেতু ও ভবন ধ্বংস হয়ে যায়।

এখন পর্যন্ত দেশটির ৮৬ হাজার মানুষকে জরুরি আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় এক হাজার জনকে বিমানে করে সরিয়ে নেয়া হয়।

 

টাইমস/এমএএইচ/জেডটি

Share this news on: